তাই আজকের এই পোস্টে আপনাদেরকে জানাবো যে, শীতকালীন সবজি নামের তালিকা এবং প্রত্যেকটি এই শীতকালীন সবজির উপকারিতা গুণগত মান এইসব বিষয়ে।আশা করছি আপনারা যারা শীতকালীন সবজির নাম এবং গুণগত মান এবং এই সকলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই উপকারী হবে ইনশাল্লাহ।
শীতকালীন সবজির নামের তালিকা
প্রথমেই আপনাদেরকে শীতকালীন সবজির নামের তালিকা গুলি অর্থাৎ নামগুলি দিয়ে দিব এবং নিচের দিকে প্রত্যেকটি এই শীতকালীন সবজির উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো।
- বাঁধাকপি
- ফুলকপি
- সিম
- লাউ
- মুলা
- ব্রকলি
- পিয়াজ কলি
- মটরশুঁটি
- পালং শাক
- টমেটো
- গাজর
- ধনিয়া পাতা
উপরের এই সকল সবজি শীতকালীন সবজি হিসাবে আমাদের বাংলাদেশে খুবই পরিচিত এবং মানসম্মত।
বাঁধাকপি
শীতকালীন সবজির মধ্যে যদি পাতা জাতীয় কোন সবজির কথা বলা হয় তাহলে সর্বপ্রথমই আপনার সামনে চলে আসবে এই বাধাকপি। বাঁধাকপি শীতকালীন সবজির একটি জনপ্রিয় সবজি এবং রান্নার পরে এটি খুবই সুস্বাদু। বাঁধাকপি যদি আপনি কাঁচা রান্নার পূর্বে আপনি খান তাহলে গ্যাস্টিকের খুবই উপকার হয়। তবে রান্না যুক্ত বাঁধাকপিতে ভিটামিন সি থাকার ফলে অনেক পুষ্টিগুণ এর উপকার পেয়ে থাকে অনেকে।
ফুলকপি
বাংলাদেশের জনপ্রিয় শীতকালীন সবজিদের মধ্যে ফুলকপি আরেকটি। ফুলকপি আপনি যেকোন ভাবে রান্না করে খেতে পারেন। বাংলাদেশের ফুলকপি মাছের সঙ্গে ঝোল করে ও রান্না করে সুস্বাদু ভাবে খাওয়া যায় এছাড়াও ভাজি করে ফুলকপি কিন্তু রান্না করে খাওয়া যায়। ফুলকপিতে আয়রন এবং ভিটামিন এ রয়েছে। অনেক বিজ্ঞানীরা বলেছে যে ফুলকপি যদি একটি মানুষ বেশি খায় তাহলে ক্যান্সারের মতো রোগ নিরাময়ে কাজ করে থাকে। তাই শীতকালীন সবজিদের মধ্যে ফুলকপি আপনি চাইলে শীতকালীন সময় বাংলাদেশের বাজার থেকে আপনি ক্রয় করে প্রতিদিনই আপনার খাবার তালিকায় রাখতে পারেন।
সিম
আবার অনেকে ভাবেন না মোবাইল সিম।এই সিম হচ্ছে শীতকালীন সবজির তালিকায় থাকা আমাদের গাছে হয় যে সিম বোঝানো হয়েছে। বাংলাদেশের শীতকালীন সবজির তালিকায় সিম আর একটি উন্নতম সবজি। সিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও সর্করা মানব দেহের চাহিদা মেটায় এই সিম।অনেকের সিমের বিসি অনেক প্রিয় আবার অনেকের শুধু সিম অনেক প্রিয় l
যেকোনো ধরনের ভাজি ঝোলের মধ্যে এই সিম ব্যবহার করে বাংলাদেশে তরকারি রান্না করে সুস্বাদুভাবে অনেকেই খায়।
মুলা
শীতকালীন আরেকটি সস্তা জনপ্রিয় সবজির নাম মুলা। অনেকেই সবজিটিকে পছন্দ করে অনেকেই একটু বেশি গন্ধের কারণে অপছন্দ করে থাকে। তবে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে শীতকালে এই মূল আর সবজিটি। বাংলাদেশের পথে ঘাটে রাস্তায় এবং বিভিন্ন ধরনের সবজির দোকানে আপনি সর্বপ্রথম প্রত্যেকটি দোকানে এই মুলা সবজি পাবেন। দাম কম থাকায় অনেকেই এই মূল আর সবজিকে পছন্দের তালিকায় না রাখলেও,খাবার তালিকায় কিন্তু রেখে দেয়। মূলা সবজিতে ভিটামিন সি থাকায় অনেকেরই কিন্তু প্রিয় খাবার হয়ে বর্তমানে শীতকালে এই সব যেটি ব্যবহার হচ্ছে।
ব্রুকলি
অনেকের কাছে নামটি অপরিচিত আবার অনেকের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি। এই সবজিটি সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতকালে এই সবজিটি আরো বেশি সুস্বাদু হয়ে ওঠে। এজন্য শীতকালীন সবজির তালিকায় এই ব্রকলি সবজিটি আরো জনপ্রিয়। ব্রুকলি বহুমূত্র হিদ্রক ও ক্যান্সার রোগের আরোগ্য লাভ করতে সাহায্য করে থাকে। ব্রকলি এই শীতকালীন সবজিতে রয়েছে ভিটামিন সি। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি অনেকের কাছে অনেক জনপ্রিয়। তবে অন্যান্য শীতকালীন সবজির দামের তুলনায় এই সবজিটির দাম একটু তুলনামূলক বেশি হওয়ার ফলে ব্রকলি এই সবজিটি তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি বাংলাদেশের শাক সবজির বাজারে।
পেঁয়াজকলি
শীতকালীন সবজি তালিকায় আরেকটি সবজি। তবে অনেকেই কিন্তু নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষায় বিভিন্ন নামেই পেঁয়াজ কলি কে ডেকে থাকে। পেঁয়াজ কলি কি ফাস্ট এই বিষয়টি আপনাদেরকে জানাই। পেঁয়াজ করি হচ্ছে আপনারা যখন শুয়ে আছে লাগাবেন তখন পেঁয়াজের উপরে একটা ফুল তৈরি হয় যেটাকে অনেকে আঞ্চলিক ভাষায় পেঁয়াজের ফুলকা বলে থাকে। এটি কিন্তু খুবই সুস্বাদু এবং খুবই ভিটামিন যুক্ত। বাংলাদেশে ভাজি হিসেবে পেঁয়াজের এই ফুলকলি বাকি আজ কলি খুবই জনপ্রিয় আবার অনেকে ভর্তা হিসেবে ও এটি কিন্তু তৈরি করে খায়।
মটরশুঁটি
মটরশুটি শীতকালীন সবজি হিসেবে অনেকেই ধরে আবার অনেকেই ধরে না। তবে আপনি চাইলেই মটরশুটি দৈনিন্দ্য আপনাদের খাবার তালিকায় রাখতে পারেন কারণ এটি কিন্তু খুবই ভিটামিনযুক্ত একটি সবজি।
লাউ
অস্থির শীতকালীন সবজিদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি সবজি। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে সব সময় কিন্তু এই লাউ পাওয়া যায় কিন্তু শীতকালে এর উৎপাদন একটু বেশি থাকায় শীতকালে এর আসল স্বাদ পাওয়ার জন্য অনেকে এটি কিন্তু শীতকালীন সবজি হিসাবে ভেবে থাকে। আপনারা অনেকেই জানেন যে প্রাচীন আমল থেকে এই লাউ কিন্তু ব্যবহৃত হয়ে আসছে শীতকালীন সবজি হিসাবে।
এই লাউ এর গুনাগুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না, অনেকের চুল পেকে যায় চুল পড়ে যায় এ সকল কাজে ওই ব্যবহৃত হয় এছাড়াও কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও কিন্তু লাউ অনেক উপকারী।
পালং শাক
শীতকালে অনেক কিন্তু শাকসবজি পাওয়া যায় এর মধ্যে পালং শাক একটু বেশি শীতকালে পাওয়া যায়। এজন্য শীতকালে শাক সবজির মধ্যে পালং শাক একটু উন্নতম। পালং শাক আপনার হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে এবং আরো অন্যান্য অনেক উপকারিতায় পালং শাকই রয়েছে। আঞ্চলিকভাবে রান্না করে এই পালং শাক খাওয়া যায়।
টমেটো
যদিও বা বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে সারা বছরই আপনি টমেটো পাবেন তবে শীতকালীন সবজি হিসেবে টমেটো কিন্তু অন্যতম। গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়ির উঠোনে এই টমেটো গাছ লাগিয়ে টমেটো কিন্তু চাষ করে। শীতকালীন প্রত্যেকটা তরকারিতে আপনি এই টমেটো ব্যবহার করতে পারবেন এছাড়াও টমেটোর আচার তৈরি করে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে যুক্ত করা যায়।
ধনিয়া পাতা
বাংলাদেশী প্রত্যেকটি খাবারের সঙ্গে শীতকালীন সবজির সাথেই ধনিয়া পাতা কিন্তু ব্যবহার করা হয়। খুবই কম মরলে বাজারে এই ধনিয়া পাতা পাওয়া যায় এবং প্রত্যেকটি খাবারের সঙ্গে শীতকালে এই ধনিয়া পাতা ব্যবহার করে।
গাজর
সবজির মধ্যে সালাতে এবং তরকারির মধ্যে ব্যবহার করার অন্যতম আরেকটি সবজি গাজর। এই গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকার ফলে অনেকেই তরকারির সঙ্গে এবং সালাত হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। গাজর শীতকালে প্রচুর পরিমাণ উৎপাদন হয় বাজারে কম মূল্যে গাজর পাওয়া যায়।
উপরে শীতকালীন সবজির তালিকায় যতগুলি সবজির কথা আলোচনা করা হয়েছে এই সবজিগুলি শীতকালে বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় সবজি। তাই আপনারা এই সবজির গুণগত মান এবং এই সবজির সঠিক ব্যবহার জেনে আপনারা আপনাদের রান্নার এবং খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন। আশা করছি আপনারা যারা শীতকালে সবজির নামের তালিকা খুঁজছিলেন তাদের জন্য এটা খুবই উপকারী হয়েছে।
যেহেতু বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ সাড়ে ছয় ঋতুর পঞ্চম তম ঋতুই হচ্ছে শীতকাল। শীতকালের সবজির তালিকা জানার পাশাপাশি আপনারা অন্যান্য ঋতুর সবজির তালিকা জানতে পোস্টটি নিচে আরও পড়ুন।
গ্রীষ্মকালীন সবজির নামের তালিকা
গ্রীষ্মকালেও বিভিন্ন সবজি হয়ে থাকে এসবের মধ্যে যেগুলি জনপ্রিয় আমি নিচে আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি।
গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে বেগুন, ঢেঁড়স, মিষ্টিকুমড়া, কাকরোল, করলা, পটল, শসা, পুঁইশাক, লালশাক, ডাঁটাশাক, গীমা কলমি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
বারোমাসি সবজি তালিকা
অনেকেই আমাদের মধ্যে রয়েছে যারা বারোমাসি সবজির নাম গুলি সম্পর্কে জানিনা। বর্তমানে বাংলাদেশে বারোমাসি সবচেয়ে অনেক উৎপাদন হয়। আমি আপনাদেরকে বারোমাসি সবজির নামগুলি জনপ্রিয় যে সকল সবজি রয়েছে সেগুলি দিয়ে দিচ্ছি –
লালশাক, গিমাকলমি, ডাটা, পাতাপেঁয়াজ, পাটশাক, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ বপনের উত্তম সময়। সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করা যায়। মিষ্টিকুমড়া, করলা, ধুন্দুল, ঝিঙা, চিচিংগা, চালকুমড়া, শসার মাচা তৈরি, চারা উৎপাদন করতে হবে। কুমড়া জাতীয় সবজির পোকা মাকড় দমনের ব্যবস্থা ও সেচ প্রদান করতে হবে।
বর্ষাকালীন সবজির নামের তালিকা
অনেকে আবার google এ সার্চ করে থাকে বর্ষাকালীন সবজির নামের তালিকা বলে। তাই আমি আমার পাঠের সুবিধার্থে সেই নামের তালিকা গুলো দিয়ে দিচ্ছি। যদিও বা গ্রীষ্মকালীন বর্ষাকালীন সবজিগুলি মোটামুটি এক রকমই হয়ে থাকে। উৎপাদনের ক্ষেত্রে শুধু একটু তারতম্য রয়েছে।
বর্ষাকালীন সবজির মধ্যে রয়েছে শসা, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, কাকরোল, চাল কুমড়া, বেগুন, বরবটি, ঢেঁড়স, পুই শাক, লাল শাক, ডাটা শাক, পাট শাক, করলা ইত্যাদি শাকসবজি।
শীতকালীন সবজি সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর
শীতকালে সবজির দাম কেমন হয়?
শীতকালে অন্যান্য মৌসুমের চাইতে প্রচুর পরিমাণে সবজির দাম কম হয়ে থাকে।
শীতকালের সবজি এবং গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে পার্থক্য কি?
শীতকালের সময় যে সকল সবজি হয়ে থাকে সেই সকল সবজি যদি গ্রীষ্মকালীন সময় হয়, তার উপকারিতা এবং গুণগত মান অনেক কম হয়।
শেষ কথা – উপরের শীতকালীন এই সবজির নামের তালিকাটি সম্পন্ন ব্যক্তি গ্রাম গঞ্জ থেকে এবং মেডিক্যাল সাইন্টিফিকেট এর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আপনাদের মাঝে পেশ করা হয়েছে এছাড়াও উপরের প্রশ্নের কিছু তথ্য অনলাইন থেকে সংগৃহীত। যদি পোষ্টের মধ্যে ভাষা জনিত বা অন্যান্য কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
পোস্ট ট্যাগ-
গ্রীষ্মকালীন সবজির নামের তালিকা,বারোমাসি সবজি তালিকা,শীতকালীন সবজি চাষের সময়,বর্ষাকালীন সবজির নামের তালিকা,শীতকালীন ফলের নামের তালিকা,১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম,শীতকালীন ফসলের তালিকা।
0 মন্তব্যসমূহ