Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Header Ads

ষষ্ঠ শ্রেণি, বাংলা - সততার পুরস্কার, সৃজনশীল, প্রশ্ন উত্তর

সততার পুরস্কার
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।



সৃজনশীল প্রশ্ন
প্রশ্ন- ১। কৃতজ্ঞতাবোধ

কালাম, আবুল ও হাফিজ একই গ্রামে বাস করে। তাদের অবস্থা তেমন ভালো নয়। কোনো মতে দিন অতিবাহিত করে। হাজী মকবুল সাহেব তার যাকাতের টাকা দিয়ে আবুলকে একটা রিকশা, কালামকে একটা ভ্যানগাড়ি আর হাফিজকে একটা সেলাই মেশিন কিনে দিল। আর বলল, তোমরা পরিশ্রম করে খাও আর তোমাদের সাধ্যমতো গরিব মানুষের উপকার করো। কিছুদিন পর হাজী সাহেব তাদের পরীক্ষা করার জন্য এক ভিক্ষুককে পাঠাল তাদের কাছে সাহায্য চাইতে। আবুল আর কালাম কোনো সাহায্যই করলো না। কিন্তু হাফিজ বিনে পয়সায় ভিক্ষুকের জামাটা সেলাই করে দিল।


ক. স্বর্গীয় দূত কতজন ইহুদিকে পরীক্ষা করেছিলেন?
খ. স্বর্গীয় দূত মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন কেন?
গ. কালাম ও আবুলের কাজের মাঝে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের যে দিকটি প্রতিফলিত তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. হাফিজের কাজের মধ্যেই ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূল শিক্ষা নিহিত- কথাটি বিশ্লেষণ কর।

উত্তর
ক স্বর্গীয় দূত তিনজন ইহুদিকে পরীক্ষা করেছিলেন।
খ স্বর্গীয় দূত তিনজন ইহুদির মনের প্রকৃত অবস্থা বোঝার জন্য মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিল।
আল্লাহর নির্দেশে একজন ফেরেশতা তিন ইহুদির সমস্যা ধবলরোগ, টাক ও অন্ধত্ব দূর করে দেয় এবং তাদের সচ্ছল করে দেয়। কিছুদিন পর তাদের মানসিক অবস্থা বোঝার জন্য তাদের পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে ছদ্মবেশ ধারণ করে।




গ উদ্দীপকের কালাম ও আবুলের কাজের মাঝে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের ধবলরোগী ও টাকওয়ালা চরিত্রের অকৃতজ্ঞতা প্রতিফলিত হয়েছে।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে এক ফেরেশতা ধবলরোগী ও টাকওয়ালার কাছে এসে তাদের রোগসমূহ দূর করে দেয়। সেই সাথে তাদের দেয়া হয় গাভিন উট ও গাভিন গাই। যা বাচ্চা দিয়ে দিয়ে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। পরে ঐ ফেরেশতা অসহায় মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করে তাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। তাদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়, তাদের পূর্বের অবস্থায় কথা। তথাপি তাদের চৈতন্যোদয় হয়নি, তারা সাহায্য করতে অপারগতা প্রকাশ করে। ফলে তাদের অবস্থা পূর্বের মতো ফিরিয়ে দেয়া হয়।

উদ্দীপকের কালাম ও আবুলকে হাজী মকবুল সাহেব যাকাতের টাকা দিয়ে রিকশা ও একটা ভ্যানগাড়ি কিনে দেন। তাদের বলা হলো পরিশ্রম করে খেতে আর সাধ্যমতো অন্য গরিবদের উপকার করতে। হাজী সাহেব একবার ভিক্ষুক পাঠিয়ে তাদের পরীক্ষা করলেন। কিন্তু তারা ভিক্ষুককে কোনো সাহায্যই করেনি। অন্যের সাহায্যে তাদের জীবনে সফলতা এলেও তারা কাউকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি। সুস্পষ্টভাবেই তারা অকৃতজ্ঞ। ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের ধবলরোগী ও টাকওয়ালা চরিত্রের প্রতিরূপ হলো কালাম ও আবুল। এদের চরিত্রে স্বার্থপরতা ও অকৃতজ্ঞতাই ফুটে উঠেছে।




ঘ উদ্দীপকের হাফিজ ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তির কাজের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে সততা, সত্যবাদিতা ও মানবিকতার মতো মহৎ গুণাবলির।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে স্বর্গীয় দূত ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির অন্ধত্ব দূর করে দেয়। সাথে তাকে দান করা হয় গাভিন ছাগল। এই ছাগল বৃদ্ধি পায় বহুগুণে। পরবর্তী সময় যখন মানুষরূপী ফেরেশতা আসেন, অন্ধ ব্যক্তির পরীক্ষা করতে তখন সে ফেরেশতারূপী মানুষকে যে কয়টা ছাগল ইচ্ছে নিয়ে যেতে বলে। ফেরেশতা তখন বলে তোমার জিনিস তোমারই থাক। আল্লাহ তোমার ওপর খুশি হয়েছেন।” অন্ধ ব্যক্তিটির রোগমুক্তি ও সচ্ছলতা এলেও সে মনুষ্যত্বকে ত্যাগ করেনি।

উদ্দীপকের হাফিজ একজন সৎ মানুষ। হাজী মকবুল তাকে সেলাই মেশিন দিলে সে তা ব্যবহার করে তার অভার দূর করেছে। অসহায় দরিদ্র মানুষের প্রতি তার মমত্ববোধ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সে ভিক্ষুকের জামাটা বিনা পয়সায় সেলাই করে দিয়েছে।

উদ্দীপকের হাফিজ যেমন মানুষের কল্যাণে ভূমিকা রাখার ইচ্ছে পোষণ করে তেমনি ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তিও একজন পরোপকারী মানুষ। এরা শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেনি। সমাজের দীন-হীন মানুষের প্রতিও জেগে উঠেছে তাদের মমত্ববোধ। যে কারণে বলা হয়েছে, হাফিজের কাজের মধ্যেই ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূল শিক্ষা নিহিত। মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  অকৃতজ্ঞতা




একবার কাঁটা ফুটল বাঘের গলায়। এ নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় পড়ল বাঘ। উপায়ান্তর না পেয়ে শরণাপন্ন হলো বকের। বড় বকশিশ পাবে এই আশায় বক কাঁটা বের করতে রাজি হলো। কথামতো বক তার লম্বা ঠোঁট বাঘের গলায় ঢুকিয়ে কাঁটা বের করে নিয়ে এলো। স্বস্তি পেল বাঘ। বক এবার তার বকশিশ চাইলে বাঘ বলল “তুই আমার মুখে গলা ঢুকিয়েছিলি তখন যে চিবিয়ে খাইনি তাইতো বেশি।”




ক. কে বহুভাষাবিদ পণ্ডিত ছিলেন? ১

খ. এক ফেরেশতা কী জন্য ইহুদি বংশের তিন লোকের কাছে গিয়েছিলেন? ২

গ. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের তিন ব্যক্তি এবং উদ্দীপকের বাঘটির ভূমিকা মূল্যায়ন কর। ৪



উত্তর

ক মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন বহুভাষাবিদ পণ্ডিত।




খ আল্লাহর নির্দেশে এক ফেরেশতা ইহুদি বংশের তিন লোকের কাছে গিয়েছিল তাদের পরীক্ষা করার জন্য।

আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতা ধবলরোগী, টাকওয়ালা ও অন্ধ ব্যক্তির কাছে গেল। পূর্বে রোগমুক্তির পাশাপাশি তারা উট, গাভি, ছাগল ইত্যাদি লাভ করেছিল। যা পরবর্তীতে বহুগুণে বর্ধিত হয়। এবার ফেরেশতা তাদের কাছে একটি উট, গাভি ও ছাগল চাইলে অন্ধ ব্যক্তিটি ছাড়া বাকি দুজন তা দিতে অস্বীকার করল। অন্ধ ব্যক্তি তার সততার পুরস্কার পেলেও অন্য দুজন সম্পদ হারিয়ে পূর্বাবস্থায় ফিরে গেল।




গ ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হচ্ছে ধবলরোগী, টাকওয়ালা এবং বাঘ সকলেই ছিল চরমভাবে অকৃতজ্ঞ।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আল্লাহর নির্দেশে এক ফেরেশতা ধবলরোগী টাকওয়ালা ও অন্ধ ব্যক্তির রোগমুক্তি দান করে এবং তাদের অতিরিক্ত দান হিসেবে উট, গাভি ও ছাগল প্রদান করে। যা পরবর্তীতে বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। কিছুদিন পর ঐ ফেরেশতা তাদের কাছে একটি উট, একটি গাভি ও একটি ছাগল চাইলে প্রথম দুজন তা প্রদান করতে অস্বীকার করে। কিন্তু অন্ধ ব্যক্তি তার পূর্বের অবস্থা স্মরণ করল এবং মানুষরূপী ফেরেশতাকে যা খুশি তা ইচ্ছেমতো নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। উদ্দীপকের বাঘ তার গলায় কাঁটা ফুটে যাওয়ার কারণে মহাবিপদের সম্মুখীন হলো এবং লম্বা ঠোঁটওয়ালা বককে অনুরোধ করে তার কাঁটা বের করে দেওয়ার জন্য। এ কাজ করার বিনিময়ে বকশিশ প্রদানের ওয়াদাও করে বাঘ। বক কাঁটা বের করে দেয়ার পর বকশিশ চাইলে, বাঘ রুদ্রমূর্তি ধারণ করে। ক্ষুদ্র একটি বকের পক্ষে করার কিছুই ছিল না।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পের প্রথম দু’ব্যক্তি রোগমুক্ত হয়ে সচ্ছল জীবনযাপন শুরু করলেও তারা ভুলে যায় তাদের অতীত। এর ঠিক বিপরীত আচরণ করে অন্ধ ব্যক্তিটি। যে তার অতীতকে মনে রেখেছে। উদ্দীপকের বাঘটি বকের প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়েছে। সে তার ওয়াদা ভঙ্গ করেছে। বাঘের ভূমিকা ন্যক্কারজনক। তাই বলা যায়, উদ্দীপক ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের দুজন ব্যক্তির অকৃতজ্ঞতার দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ।




ঘ উদ্দীপকের বক একটি অকৃতজ্ঞ চরিত্র যাকে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তির বিপরীত চরিত্র হিসেবে গণ্য করা যায়।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির নিকট তার কি চাই জিজ্ঞাসা করলেন। অন্ধ ব্যক্তি বললেন, ‘আমার চোখ ভালো করিয়া দিন।’। স্বর্গীয় দূত তার চোখে হাত বুলিয়ে দিলে তার চোখ ভালো হয়ে গেল। দূত তাঁর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য একটি গাভিন ছাগলও প্রদান করলেন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বস্ততা ও সততা পরীক্ষার জন্য ঐ ফেরেশতা কিছুদিন পর আবার তার কাছে এলেন। ফেরেশতা তার সাহায্য হিসেবে একটি ছাগল চাইলে সন্তুষ্টচিত্তে তা প্রদানে সম্মত হলেন। সৃষ্টিকর্তা তার সততা ও কৃতজ্ঞতাবোধে সন্তুষ্ট হলেন।

উদ্দীপকের বাঘ হিংস্র প্রাণী হলেও গলায় কাঁটা ফুটলে সে শরণাপন্ন হয় লম্বা গলাবিশিষ্ট বকের। বককে বকশিশ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বাঘের কথায় রাজি হয়ে বক বাঘের গলা থেকে কাঁটা বের করে দেয়। বক তার প্রাপ্য বকশিশ চাইলে বাঘ তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে। তাকে গলার ভেতর পেয়েও যে বাঘ তাকে চিবিয়ে খায়নি তা স্মরণ করিয়ে দেয়।

উদ্দীপকের বাঘ ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তির চরিত্র মূল্যায়ন করলে আমরা পাই বাঘ চরম অকৃতজ্ঞ ও স্বার্থপর একটি চরিত্র আর অন্ধ ব্যক্তি সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও বিশ্বস্ততার প্রতীক। সে তার পূর্বের দুরাবস্থার কথা মনে রেখেছে তাই অন্যের বিপদে সাহায্যের জন্য সে সদাপ্রস্তুত। তাই ফেরেশতা তার নিকট একটি ছাগল চাইলে সে যা চায় তাই নিতে অনুরোধ করেছে। তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায় উদ্দীপকের বাঘের চরিত্রটি অন্ধ ব্যক্তির বিপরীত ও একটি অকৃতজ্ঞ চরিত্র।
প্রশ্ন- ২  ভোগপ্রবণ মানসিকতা




“মসজিদে কাল শিরনি আছিল,- অঢেল গোস্ত রুটি

বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটি কুটি,

এমন সময় এলো মুসাফির গায় আজারির চিন

বলে, ‘বাবা, আমি ভুখা ফাকা আছি আজ নিয়ে সাত দিন!’

তেরিয়া হইয়া হাঁকিল মোল্লা-ভ্যালা হলো দেখি লেঠা,

‘ভুখা আছ মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে নমাজ পড়িস বেটা?”




ক. ফেরেশতা কীসের তৈরি? ১

খ. তিন ব্যক্তির কীভাবে রোগমুক্ত হয়েছিল? ২

গ. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের কোন বিষয়টি উদ্দীপকের সাথে সংগতিপূর্ণ ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকটি ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাবকে ধারণ করে কি- বিশ্লেষণ কর। ৪



উত্তর

ক ফেরেশতা নূরের তৈরি।




খ ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে তিন ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতার মাধ্যমে রোগমুক্ত হয়েছিল।

তিন ব্যক্তি ছিল ধবলরোগী, টাকওয়ালা ও অন্ধ। ফেরেশতা গায়ে হাত ঝুলিয়ে দিলে ধবলরোগী, মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে টাকওয়ালা ও চোখে হাত বুলিয়ে দিলে অন্ধব্যক্তি রোগমুক্ত ও সুস্থ হয়ে যায়।




গ ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে প্রকাশিত কোনো সাহায্যপ্রার্থীকে সাহায্য না করার অমানবিক দিকটি উদ্দীপকের সাথে সংগতিপূর্ণ।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতা ধবল রোগ ও টাক সমস্যা থেকে মুক্ত করেন দুই ব্যক্তিকে। রোগমুক্ত হওয়ার পর ঐ দু ব্যক্তিকে সচ্ছল জীবনযাপনের জন্য গাভিন উট ও গাভিন গাই প্রদান করা হয়। আল্লাহর কৃপায় তারা সচ্ছল হয়ে ওঠে। তাদের মনুষ্যত্ব ও মনের অবস্থা পরীক্ষার জন্য কিছুদিন পর পুনরায় ফেরেশতা পাঠানো হয়। ফেরেশতা মানুষের বেশে তাঁর বিপদ দূর করার জন্য একটি উট ও একটি গাভি চাইলে তারা তা দিতে অস্বীকার করে। এমনকি তারা তাদের পূর্বের অসহায় অবস্থার কথাও অস্বীকার করে।

উদ্দীপকে ক্ষুধার্ত ভিখারি মোল্লা সাহেবের কাছে কিছু খাবার প্রার্থনা করেছিল। অঢেল গোস্ত রুটি থাকা সত্ত্বেও মোল্লা সাহেব সাতদিনের অনাহারি ভিখারিকে নামাজ না পড়ার অজুহাতে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ঔদ্ধত্ববশত তাকে গো-ভাগাড়ে গিয়ে মরতে বলেছে। মুসাফিরের করুণ আহাজারিতে মোল্লা সাহেবের হৃদয় এতটুকু বিগলিত হয়নি। ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের ধবলরোগী ও টাকওয়ালা তেমনি স্বার্থপর ব্যক্তি। তারা শুধু নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত ছিল। অন্যের দুঃখকষ্ট তাদের হৃদয় স্পর্শ করেনি। সম্পদের লোভে তারা অন্ধ হয়ে গিয়েছে। আল্লাহ তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সাহায্য প্রার্থীকে সাহায্য না করার ঘৃণ্য মানসিকতার বিষয়টি আমরা উদ্দীপক ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে দারুণভাবে লক্ষ করি।




ঘ উদ্দীপকটি ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাবকে নয় বরং আংশিকভাবকে ধারণ করে।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আমরা দেখি আল্লাহর নির্দেশিত ফেরেশতার কাছে ধবলরোগী, টাকওয়ালা ও অন্ধব্যক্তি তাদের রোগমুক্তির জন্য প্রার্থনা করে। ফেরেশতা তাদের রোগমুক্ত করেন এবং আল্লাহর নির্দেশে তাদের গাভিন উট, গাভিন গাই ও ছাগল প্রদান করেন। যা পেয়ে তারা অত্যন্ত সচ্ছল হয়ে ওঠে। তারা আল্লাহর প্রতি অনুগত কৃতজ্ঞতাবোধসম্পন্ন কি না তা পরীক্ষা করার জন্য ফেরেশতা আবার মানুষের বেশে তাদের কাছে আসেন। ফেরেশতা তাঁর অসহায়ত্বের কথা বলে তাদের কাছে একটি উট, গাভি ও ছাগল চাইলে প্রথম দু ব্যক্তি তা দিতে অস্বীকার করে অবশ্য অন্ধ ব্যক্তি তার পূর্বের কথা স্মরণ করে এবং বিনীতভাবে ফেরেশতাকে তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন।

উদ্দীপকে মসজিদে অঢেল গোস্ত রুটি বেচে যাওয়ায় মোল্লা সাহেব খুশিতে আটখানা। ঠিক তখনই সাতদিনের অনাহারি এক মুসাফির তার কাছে খাবার প্রার্থনা করলে তাকে বকাঝকা করে তাড়িয়ে দেয়। নামাজ না পড়ার অজুহাত দেখিয়ে তাকে খাবার থেকে বঞ্চিত করে। ক্ষুধায় তার পেট জ্বলেপুড়ে গেলেও প্রতি তার কোনোরূপ মমত্ববোধ সৃষ্টি হয়নি। অত্যন্ত নির্দয়ভাবে মোল্লা সাহেব অনাহারিকে গো-ভাগাড়ে গিয়ে মরতে বলেছে।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আমরা দেখি দুজন ব্যক্তি স্বার্থের মোহে অন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার প্রতিফল হিসেবে তারা তাদের পূর্বের দরিদ্রদশায় পতিত হয়েছে। তৃতীয় ব্যক্তির মধ্যে সততা ও বিচার বুদ্ধি থাকায় সে আল্লাহর পক্ষ থেকে যে দান পেয়েছিল তা সে স্থায়ীভাবে পেল। কিন্তু উদ্দীপকে শুধু প্রথম দুই ব্যক্তির আচরণের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। অর্থাৎ সাহায্যপ্রার্থীকে কোনোরূপ সহায়তা না দেয়ার কথাই বলা হয়েছে। তাই বলা যায় উদ্দীপকটি ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাবকে ধারণ করে না বরং আংশিক ভাবকে ধারণ করে।
প্রশ্ন- ৩  মানুষ মানুষের জন্য




‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে

আসে নাই কেহ অবনী-’পরে।

সকলের তরে সকলে আমরা,

প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।’




ক. আল্লাহর দূতের কাছে ধবলরোগী কি চেয়েছিল? ১

খ. অন্ধ ব্যক্তির প্রতি আল্লাহ খুশি হয়েছেন কেন? ২

গ. ‘উদ্দীপকের মূলভাব ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ’- ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. ‘‘সততার পুরস্কার’ গল্পের সমগ্রভাব উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে’ বিশ্লেষণ কর। ৪



উত্তর

ক আল্লাহর দূত ফেরেশতার কাছে ধবলরোগী একটি উট চেয়েছিল।




খ অন্ধ ব্যক্তির সততা ও কৃতজ্ঞতাবোধের কারণে আল্লাহ তার প্রতি খুশি হয়েছেন।

অন্ধ ব্যক্তিকে তার প্রার্থনা অনুযায়ী তার অন্ধত্ব দূর করা হয়েছিল। সচ্ছলতার জন্য তাকে দেয়া হয়েছিল একটি গাভিন ছাগল। সে গরিব থেকে আমিরে পরিণত হয়েছিল। তার কাছে যখন ছদ্মবেশি ফেরেশতা একটি ছাগল চাইল তখন সে তা প্রদানের জন্য সম্মত হলো। তার এই কৃতজ্ঞতাবোধের কারণে আল্লাহর তার প্রতি খুশি হলেন।




গ মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধের দিক থেকে উদ্দীপকের মূলভাবের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে তিন ব্যক্তিকে অসুস্থ অবস্থা থেকে সুস্থতা দান করা হয়। তাদের দরিদ্রদশা থেকে সচ্ছল ও ধনাঢ্য করা হয়। তারা সৃষ্টিকর্তার প্রতি অনুগত কি না মানুষের বিপদে সাহায্য করে কি না তার পরীক্ষা নেওয়া হয়। অন্ধ ব্যক্তি এতে সফলকাম হলেও দু’ব্যক্তি পরীক্ষা-উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়। কারণ তারা অপরের দুঃখকষ্টের সাথি হতে পারেনি, তারা শুধু নিজেদের নিয়েই শুধু ব্যস্ত ছিল।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে, মানুষ শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্যই পৃথিবীতে আসেনি। মানুষ মানুষের জন্য। তারা একে অপরের বিপদে আপদে এগিয়ে আসবে এটাই মনুষ্যত্বের ধর্ম। মানুষ যখন মানুষের উপকারের জন্য অগ্রগামী হয় তখনই সে সত্যিকার মানুষ হয়ে ওঠে। ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে মানুষরূপী ফেরেশতার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি বলে ধবল রোগী ও টাকওয়ালার জীবন ব্যর্থতার পর্যবসিত হয়েছে। তাই বলা যায় উদ্দীপকের মূলভাবের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাব সাদৃশ্যপূর্ণ।



ঘ বিষয়বস্তু বিবেচনায় ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের সমগ্রভাবই উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে তিন ইহুদি ব্যক্তিকে আল্লাহর নির্দেশে এক ফেরেশতা তাদের রোগমুক্ত করে দেন। তাদের ধবল রোগ, টাক সমস্যা ও অন্ধত্ব দূর হওয়ার পর তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য তাদের গাভিন উট, গাভি ও ছাগল প্রদান করা হয়। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই তারা সচ্ছল ও ধনাঢ্য ব্যক্তিতে পরিণত হয়। তাদের সততা, সত্যবাদিতা ও মনুষ্যত্ববোধ পরীক্ষা করার জন্য ঐ ফেরেশতা মানুষরূপে এসে তাদের কাছে সাহায্য চাইলে ধবলরোগী ও টাকওয়ালা সাহায্য না করে ফিরিয়ে দেয়। তৃতীয় অর্থাৎ অন্ধ ব্যক্তি সন্তুষ্টচিত্তে ছাগল প্রদানে সম্মত হয়। অকৃতজ্ঞতার ফলস্বরূপ দুই ব্যক্তিতে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অন্ধ ব্যক্তি তার সততার পুরস্কার লাভ করে।

উদ্দীপকে কবিতাংশটুকু ভাব ও বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে কবি বলেছেন পৃথিবীতে মানুষ শুধু নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই আসেনি। তার আগমনের প্রধানতম উদ্দেশ্য মানবতার কল্যাণসাধন করা। অর্থাৎ একে অন্যের বিপদে আপদে এগিয়ে আসা। সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা। মানুষ শুধু মানুষের কল্যাণেই কাজ করবে। প্রত্যেকে যদি পরের জন্য কাজ করে তবে পৃথিবীতেই স্বর্গ নেমে আসবে।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আমরা দেখি অন্ধ ব্যক্তি তার সততার জন্য পুরস্কার লাভ করেছেন। আর উদ্দীপকের বিষয়বস্তুও অপরের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করা। মানুষ মানুষের জন্য সে শিক্ষাই দেওয়া হয়েছে। কাজেই উদ্দীপক ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্প বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় উদ্দীপকটিতে গল্পের সমগ্রভাবই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রশ্ন- ৪  ন্যায়পরায়ণতা




নবম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ। স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে সে একটি মানিব্যাগ খুঁজে পায়। খুলে দেখে অনেক টাকা। মানিব্যাগে মোবাইল নম্বর খুঁজে পেয়ে এর মালিককে ফোন দেয়। মানিব্যাগের মালিক টাকা ফেরত পেয়ে জুনায়েদের সততায় মুগ্ধ হয়।




ক. স্বর্গীয় দূতের কাছে ধবলরোগী কী চেয়েছিল? ১

খ. ধবলরোগী ও টাকওয়ালার প্রতি আল্লাহ বেজার হলেন কেন? ২

গ. উদ্দীপকের জুনায়েদের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের কোন চরিত্র সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. ‘সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা’ উক্তিটি উদ্দীপক ও সততার পুরস্কার গল্পের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৪



উত্তর

ক স্বর্গীয় দূতের কাছে ধবলরোগী একটি উট চেয়েছিল।




খ ধবলরোগী ও টাকাওয়ালার কৃতজ্ঞতা বোধ না থাকায় আল্লাহ তাদের প্রতি বেজার হলেন।

ধবলরোগী ও টাকওয়ালা আল্লাহর করুণায় রোগমুক্তি ও সচ্ছলতা লাভের পরও তারা ফেরেশতার কাছে অকৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করেছে। তাই আল্লাহ তাদের প্রতি বেজার হয়েছিলেন।




গ উদ্দীপকের জুনায়েদের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তি চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে অন্ধ ব্যক্তি চরিত্রটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর নির্দেশে এক ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির নিকট গমন করেন এবং তার প্রার্থনা অনুযায়ী তার অন্ধত্ব দূর করে দেন। তার আর্থিক সচ্ছলতার জন্য তাকে একটি গাভিন ছাগল প্রদান করা হয়। যা পরে বহুগুণে বৃদ্ধি পায় এবং পূর্বে অন্ধ থাকা ব্যক্তিটি ধনাঢ্য ব্যক্তিতে পরিণত হয়। তাকে পরীক্ষার জন্য যখন দ্বিতীয় বার ঐ ফেরেশতা মানুষরূপে এসে তার কাছে সাহায্য প্রার্থী হলো তখন তিনি তাকে যা খুশি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ফেরেশতা তার কাছ থেকে কিছুই গ্রহণ না করে বলেন তোমাকে পরীক্ষা করা হলো। আল্লাহ তোমার ওপর খুশি হয়েছেন।

উদ্দীপকের জুনায়েদ একজন স্কুল ছাত্র। সে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া মানিব্যাগে অনেক টাকা পেয়েও তার ভেতর লোভ জেগে ওঠেনি। সে মালিককে তা পৌঁছে দেয়াটা দায়িত্ব মনে করছে। তাই সে মালিককে ফোন করে মানিব্যাগটা পৌঁছে দিয়েছে। তার এই সাধুতা ও সত্যবাদিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে অন্ধ ব্যক্তির চরিত্র। উদ্দীপকের জুনায়েদ ও গল্পের অন্ধব্যক্তি উভয়েই ন্যায়পরায়ণ মানুষ। তাদের সাধুতা ও সত্যবাদিতা প্রশ্নাতীত। তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে তাদের মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে।







ঘ ‘সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা’ এই উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে চরমভাবে সত্য হয়ে উঠেছে।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আমরা দেখি তিন ইহুদি ব্যক্তিকে পরীক্ষার জন্য আল্লাহ তাদের কাছে ফেরেশতা পাঠান। ফেরেশতা প্রথম মানুষরূপে ঐ তিন ব্যক্তি ধবলরোগী, টাকওয়ালা ও অন্ধ ব্যক্তির কাছে গিয়ে প্রার্থনা অনুযায়ী তাদের রোগমুক্ত করেন এবং সচ্ছলতার জন্য উট, গাই ও ছাগল প্রদান করেন। তিনজনের অবস্থাই তখন ভালো হয়ে যায়। কিছুদিন পর তাদের পরীক্ষার জন্য ঐ ফেরেশতা সাহায্যপ্রার্থী হয়ে তাদের কাছে সাহায্য চান কিন্তু শুধু অন্ধব্যক্তিটি তাকে স্বাচ্ছন্দে সাহায্য করতে সম্মত হন। এই ঘটনায় আল্লাহ অন্ধ ব্যক্তির ওপর খুশি হন এবং ধবলরোগী ও টাকওয়ালার ওপর বেজার হয়ে তাদের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেন।

উদ্দীপকে স্কুল ছাত্র প্রচুর টাকা সমেত মানিব্যাগ পাওয়ার পরও সে তার চারিত্রিক বলিষ্ঠতার কারণে সে ফোন করে মানিব্যাগের টাকাসহ মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছে। টাকা আত্মসাৎ করে সে তার নিজের মনে কালিমা লেপন করতে চায়নি। সে লোভের বশবর্তী না হয়ে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকেই সমুন্নত রেখেছে। পাশাপাশি অন্ধ ব্যক্তিও লোভের বশবর্তী হয়ে ধরাকে সরাজ্ঞান করেনি। সে আরো বিনয়ী ও কৃতজ্ঞ হয়েছে। সে সততার সাথে ফেরেশতার কাছে পূর্বের সবকিছু স্বীকার করে নিয়েছে। তার ‘সততার পুরস্কার’ সে সাথে সাথেই পেয়েছে। তাই দেখা যায় ‘সততাই যে সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা’ সেই আদর্শই উদ্দীপক ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে মুখ্য হয়ে উঠেছে।
প্রশ্ন- ৫  সৃষ্টিকর্তার মহানুভবতা




‘দিয়ে ধন

দেখে মন

কেড়ে নিতে

কতক্ষণ।’

ক. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের লেখকের নাম কী? ১

খ. অন্ধ ব্যক্তির দেওয়া ছাগল ফেরেশতা গ্রহণ করলেন না কেন? ২

গ. উদ্দীপকের বক্তব্য ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের ঘটনাপ্রবাহের মাঝে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের আলোকে উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর। ৪






উত্তর

ক ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের লেখকের নাম মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
খ অন্ধ ব্যক্তি তার ওপর কৃত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বিধায় তার দেওয়া ছাগল ফেরেশতা গ্রহণ করেননি।

উপরন্তু ফেরেশতা বলেছেন, ‘তোমার জিনিস তোমারই থাক। তোমার পরীক্ষা নেওয়া হলো। আল্লাহ তোমার ওপর খুশি হয়েছেন।




গ উদ্দীপকের বক্তব্যের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের ঘটনাপ্রবাহের সাথে যথার্থ সাদৃশ্যপূর্ণ।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে তিন ইহুদি ব্যক্তিকে রোগমুক্ত করা হয়েছে। আবার তার সাথে সচ্ছলতার জন্য উট, গাই ও ছাগল প্রদান করা হয়েছে। আবার তাদের পরীক্ষা করার জন্য সাহায্যপ্রার্থী হিসেবে মানুষরূপী হয়ে ফেরেশতা তাদের দ্বারে উপস্থিত হয়েছেন। আল্লাহর এত অনুগ্রহ লাভের পরও প্রথম দু’ব্যক্তি সাহায্যপ্রার্থীকে সাহায্য প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে তৃতীয় ব্যক্তি যিনি অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে, বহু সম্পদের মালিক হওয়ার পরও আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থেকেছে। তাই সাহায্যপ্রার্থীকে ফিরিয়ে না দিয়ে যা খুশি তাই নিয়ে যেতে বলেছেন। এ ঘটনায় প্রথম দু’ব্যক্তির প্রতি আল্লাহ বিরাগভাজন হয়েছেন এবং শেষ ব্যক্তির ওপর খুশি হয়েছেন। শেষ ব্যক্তির ওপর দান অনুদান বহাল থেকেছে আর প্রথম দুজনের দান ফিরিয়ে নিয়ে তাদের পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উদ্দীপকে সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা ও শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার কাছে সম্পদের অভাব নেই। তিনি যখন যাকে ইচ্ছে দান করতে পারেন। তিনি মানুষকে সম্পদ দিয়েও পরীক্ষা করেন, না দিয়েও পরীক্ষা করেন। মানুষ তাঁর প্রতি অনুগত ও বিশ্বস্ত থাকে কি না তাই যাচাই করেন। মানুষকে সম্পদ দিয়ে তিনি যেকোনো সময় তা কেড়ে নিতে পারেন। ‘সততার পুরস্কার’ গল্পেও তাই আমরা দেখি আল্লাহ ধবলরোগী ও টাকওয়ালার অভাব দূর করার পর তারা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ না হওয়ায় তিনি তাদের দেয়া অনুগ্রহ প্রত্যাহার করে নেন। ফলে তারা পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। যা উদ্দীপকের মূল বিষয়বস্তুর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।




ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে যথার্থভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

‘সততার পুরস্কার’ গল্পে ধবলরোগী ও টাকওয়ালা আল্লাহর অনুগ্রহ ও দানে কৃতজ্ঞ না হয়ে অকৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করেছে। তাই আল্লাহ তাদের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এবং তাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছিলেন তা তিনি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অন্যদিকে অন্ধব্যক্তি তাঁর প্রতি অনুগত ও কৃতজ্ঞ থাকার কারণে তার প্রতি খুশি হয়েছেন এবং অনুগ্রহ দানে তাকে ধন্য করেছেন।

উদ্দীপকের মূলবক্তব্য হচ্ছে মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষকে বিভিন্ন ধনসম্পদ দিয়ে তাদের মন পরীক্ষা করেন। ধনসম্পদের মালিক হয়ে সে অহঙ্কারী কিংবা ধরাকে সরাজ্ঞান করে কি না। সেক্ষেত্রে আল্লাহ ঐ ব্যক্তির কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিয়ে তাকে নিঃস্ব করে দিতে পারেন। সৃষ্টিকর্তা এসব মুহূর্তের মধ্যেই করতে পারেন।

উদ্দীপক ও গল্পের বিষয়বস্তু মূল্যায়ন করলে আমরা বুঝতে পারি সৃষ্টিকর্তার একচ্ছত্র ক্ষমতা উভয় ক্ষেত্রে সত্য হয়ে উঠেছে। আল্লাহর দানের প্রতি কৃতজ্ঞ হলে ধবলরোগী ও টাকওয়ালা এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। তারাও অন্ধ ব্যক্তির মতো সৃষ্টিকর্তার করুণা লাভে ধন্য হতো।

সৃষ্টিকর্তা ক্ষমতার কাছে মানুষের ক্ষমতা খুবই নগণ্য। ধবলরোগী ও টাকওয়ালার মন পরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র। তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও কল্যাণ লাভের জন্য সঠিক ব্যক্তি ছিল না। তাই তারা বঞ্চিত হয়েছে। তাই উদ্দীপকের বক্তব্য অত্যন্ত যৌক্তিক তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৬ অদূরদর্শিতা




সাদেক ও রনি দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। শিক্ষাজীবনের পাঠ চুকিয়ে দুই বন্ধু অনেক ঘোরাঘুরি করেও কোনো চাকরি জোটাতে পারল না। দুই জনে স্থির করল ব্যবসা করবে। কিন্তু টাকা কোথায়। এগিয়ে এলেন ধনী ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান। তিনি সাদেক ও রনিকে কোনো শর্ত ছাড়াই ব্যবসা করার জন্য পুঁজি দিলেন, তবে শর্ত হিসেবে একটি শর্ত দিলেন আর তা হচ্ছে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হলে গরিব দুঃখীদের যথাসাধ্য সাহায্য করতে হবে। সাদেক ও রনি বেশ উদ্যমের সাথে ব্যবসায় শুরু করলেও অল্প কিছুকাল পরই লোকসান দিয়ে দিয়ে ঋণে জর্জরিত হয় ব্যবসায় ইস্তফা দিল।




ক. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? ১

খ. ‘তোমার জিনিস তোমারই থাক’ ব্যাখ্যা কর। ২

গ. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের সাথে উদ্দীপকের বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর। ৩

ঘ. “‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আল্লাহর কৃপা থাকলেও উদ্দীপকে ঘটেছে তার উল্টো চিত্র” উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪



উত্তর

ক মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।




খ ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তিকে আল্লাহর নির্দেশে পরীক্ষা নেওয়া শেষে এ উক্তিটি করেছিলেন।

ফেরেশতা টাকওয়ালা ও ধবলরোগীর কাছে উট ও গাই চেয়ে ব্যর্থ হন। তারপর অন্ধ ব্যক্তির কাছে ছাগল চাইলে তিনি তা দিতে সম্মত হন। পূর্বের দুইজন ফেরেশতাকে কিছু না দিয়ে তারা সকল কিছু হারায়। অন্যদিকে অন্ধ ব্যক্তির কৃতজ্ঞতাবোধে ফেরেশতা খুশি হয়ে তাকে বলেন- তোমার জিনিস, তোমারই থাক।




গ ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তির কৃতজ্ঞতাকে ও অন্য দুই জনের অকৃতজ্ঞতা এবং উদ্দীপকের দুই বন্ধুর ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরতে হবে।




ঘ উদ্দীপকে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের সম্পূর্ণ বিপরীত ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়টি আলোচনা করতে হবে।
প্রশ্ন- ৭




চুরির অভিযোগে কিছু লোক জনৈক ব্যক্তিকে চেয়ারম্যানের ইউনিয়ন পরিষদে হাজির করল। ঘটনার বিবরণ শুনে তিনি চৌকিদার আমজাদকে ডেকে নির্দেশ দিলেন বন্দিকে তার বাড়িতে রাখতে। ঘটনাক্রমে আমজাদ জানতে পারল বন্দি ব্যক্তি আর কেউ নয়, সে দশ বছর আগে আমজাদের সন্তানকে সড়ক দুর্ঘটনা থেকে বাঁচিয়েছিল, নিজ গৃহে নিয়ে গিয়ে আহত সন্তানের সেবা করেছিল। আমজাদ তখন তাকে বাঁচানোর সংকল্প করল এবং বন্দির কাছ থেকে জেনে নিল যে চুরিতে তার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না। যখন সে জানতে পারল চুরিতে দোষীসাব্যস্ত করা ব্যক্তির কোনো হাত নেই তখন সে যুক্তি প্রমাণ সংগ্রহ করতে লাগল দোষীব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য।


ক. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূল বাণী কী? ১

খ. অন্ধ ব্যক্তির সম্পদ তার নিজের কাছে রয়ে গেল কেন? ২

গ. আমাদের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তির কীরূপ সাদৃশ্য রয়েছে বুঝিয়ে বল। ৩

ঘ. “উদ্দীপক এবং ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের উভয় ক্ষেত্রে কৃতজ্ঞতাবোধের পরিচয় পাওয়া যায়”- উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪



উত্তর

ক ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূল বাণী হচ্ছে আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করেন এবং সৎলোককে যথাযথ পুরস্কার দেন।




খ আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শনের জন্য অন্ধ ব্যক্তির সম্পদ তার নিজের কাছে রয়ে গেল।

ফেরেশতা যখন অন্ধ ব্যক্তিকে পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ দোহাই দিয়ে তার কাছে ছাগল চাইল। তখন শুধু অন্ধ ব্যক্তিই ছাগল দিতে সম্মত হয়েছিল। কারণ ছাগল দেওয়ার সময়ও সে উচ্চারণ করেছিল আমি অন্ধ ছিলাম আল্লাহর কৃপায় সুস্থ হয়েছি। আল্লাহর প্রতি এরূপ কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করায় চিরতরে অন্ধ ব্যক্তির সম্পদ তার কাছে রয়ে গেল।



গ অন্ধ ব্যক্তির আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং আমজাদের দোষীসাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতার সাদৃশ্য তুলে ধরতে হবে।




ঘ উদ্দীপকের আমজাদ ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধব্যক্তি দুজনেই কৃতজ্ঞতার উপযুক্ত পরিচয় দিয়েছেন। সে বিষয়টি যথাযথভাবে আলোচনা করতে হবে।





প্রশ্ন: ০১

কালাম, আবুল ও হাফিজ একই গ্রামে বাস করে। তাদের অবস্থা তেমন ভালো নয়। কোনো মতে দিন অতিবাহিত করে। হাজী মকবুল সাহেব তার যাকাতের টাকা দিয়ে আবুলকে একটা রিক্সা কামালকে একটা ভ্যানগাড়ি আর হাফিজকে একটা সেলাই মেশিন কিনে দিল। আর বলল, তোমারা পরিশ্রম করে খাও আর হাজী সাহেব তাদের পরীক্ষা করার জন্য এক ভিক্ষুককে পাঠাল তাদের কাছে সাহায্য চাইতে। আবুল কালাম কোনো সাহায্যই করলো না। কিন্তু হাফিজ বিনে পয়সায় ভিক্ষুককে পাঠাল তাদের কাছে সাহায্য চাইতে। আবুল কালাম কোনো সাহায্যই করলো না। কিন্তু হাফিজ বিনে পয়সায় ভিক্ষুকের জামাটা সেলাই করে দিল।

(ক) স্বর্গীয় দূত কতজন ইহুদিকে পরীক্ষা করেছিলেন?
(খ) স্বগীয় দূত মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন কেন?
(গ) কালাম ও আবুলের কাজের মাঝে সততার পুরস্কার গল্পের যে দিকটি প্রতিফলিত তা ব্যাখ্যা কর ।
(ঘ) হাফিজের কাজের মধ্যেই সততার পুরস্কার গল্পের মূল শিক্ষা নিহিতÑকথাটি বিশ্লেষণ কর।



প্রশ্নের উত্তর :

(ক) স্বর্গীয় দূত তিনজন ইহুদিকে পরীক্ষা করেছিলেন ।

(খ) স্বর্গীয় দূত মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন ইহুদিও পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। স্বর্গীয় দূত আল্লাহর নির্দেশে তিন ইহুদির নিকট াাসেন এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী তাদেরকে চাহিদা পূরণ করে দেন। অতঃপর তাদের যা যা প্রয়োজন তাকে তাই দেন ফলে তাদের ভাগ্যেও পরিবর্তণ ঘটে । আর পরীক্ষা নেওয়ার জন্য স্বর্গীয় দূত এক, এক করে তিন জনের কাছে আলাদা আলাদাভাবে সাহায্য চাইলেন এবং প্রথম দুজন কৃতজ্ঞতা অস্বীকার করে তাকে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু অন্যজন তাকে সহযোগিতা করে তার কৃতজ্্যঞার প্রকাশ করে। ইহুদিদের মধ্যে ফেরেশতার প্রথম দুজনের উপর অসন্তুষ্ট ও তৃতীয় জনের উপর খুশি হলেন। অতঃপর সে চলে গেলেন। আর এ কারণেই স্বর্গীয় দূত মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন।

(গ) কালাম ও আবুলের কাজের মাঝে সততার পুরস্কার গল্পে মনুষ্যত্ব বোধের অভাব প্রতিফলিত হয়েছে । কালাম ও আবুলের কাজের মাধ্যমে সততার পুরস্কার গল্পের প্রথম ব্যক্তি ধবলরোগী ও দ্বিতীয় ব্যক্তি টাকওয়ালার অকৃতজ্ঞতার পরিচয় ফুটে ওঠে । আর মনুষ্যত্ববোধের অভাবেই মানুষ অকৃতজ্ঞা হয়ে পড়ে । উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই যে কালাম ও আবুল পূর্বে হতদরিদ্র থাকা সত্ত্বেও তারা যখন স্বাবলম্বী হলো তখন তারা ভিক্ষুককে সাকহায্য করল না আর যে ব্যক্তি তাদের সাহায্য তথ্য উপদেশ দিয়ে ছিলেন তার কথাও মনে করল না । আর এর দ্বারাই তদেও অকৃতজ্ঞতা ফুটে ওঠে । আর মনুষ্যত্ব বোধের অভাবেই কালাম ও আবুলের মাঝে অকৃতজ্ঞাতা ফুটে উঠেছে।
(ঘ) হাফিজের কাজের মধ্যেই সততার পুরস্কার গল্পের মূল শিক্ষা নিহিত রয়েছে। আর এই গল্পের মূল শিক্ষা হচ্ছে পরোপকার করা । পরোপকারই হচ্ছে আসল ধর্ম । আমরা সততার পুরস্কার গল্পে দেখতে পাই অন্ধ ব্যক্তি যখন আল্লাহর উপর কৃতজ্ঞ ছিলেন। ফেরেশতা বিদেশীর ছদ্মবেশ ধারণ করলে তার যা যা প্রয়োজন তাই নিতে বলল । আর আমরা উদ্দীপকে দেখতে পাই যে, ভিক্ষুকের জামা ছিড়ে যাওয়ায় তিনি তার জামাটা বিনা পয়সায় সেলাই কওে দেন। যার দ্বারা বুঝা যায় যে তিনি তার পূর্বেও অবস্থা সম্পর্কে অবগত রে য়ছেন। সততার পুরস্কার গল্পের দ্বারা আমরা বুঝতে পারি যে, অসময় অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে হয় এবং তাদের স্ববলম্বী করে তুলতে হয়। আর উপকারীর উপর কৃতজ্ঞতা বেশি থাকতে হয় । তাই বলা যায় যে, হাফিজের কাজের মধ্যেই সততার-পুরস্কার গল্পের মূল শিক্ষা নিহিত।

প্রশ্ন: ০
হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রহিম ও করিম । তাদের স্ববলম্বী করার জন্য মতলুবর রহমান নামের এক ব্যক্তি তাদেরকে অর্থেও বিনিময়ে সাহায্য করেন। এই অর্থেও দ্বারা তারা ব্যবসা করে ধনীতে রুপান্তরিত হয় । একদিন এক অসহায় তাদের নিকট আসলে দেখা যায় তারা দুজনেই অসহায়কে অর্থের বিনিময়ে সাহায্য করেন।

(ক) কসম শব্দের অর্থ কী ?
(খ) সততার পুরস্কার গল্পের মূল বাণী কি?
(গ) উদ্দীপকের রহিম ও করিম সততার পুরস্কার গল্পের কার প্রতিচ্ছবি । ব্যাখ্যা ।
(ঘ) উদ্দীপকের এবং সততার পুরস্কার গল্পের উভয় ক্ষেত্রেই পরোপকার প্রাধান্য পেয়েছে মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।


প্রশ্নের উত্তর :
(ক) কসম শব্দের অর্থ হচ্ছে শপথ।
(খ) সততার পুরস্কার গল্পের মূল বাণী হচ্ছে আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করেন এবং সৎলোককে যথাযথ পুরস্কার দেন ফেরেশতারা মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট যান এবং তাদের বিভিন্ন পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকে । আর যার দ্বারা তারা সৎ ও অসৎ রৈাকদের চিহ্নিত করেন। আর এর দ্বারা তারা সৎ লোকদের যথাযথ পুরস্কার ও অসৎ লোকদের যথাযথ শাস্তি দিয়ে থাকেন।

 (গ) উদ্দীপকের রহিম ও করিম সততার পুরস্কার গল্পের অন্ধ ব্যক্তিটিরই প্রতিচ্ছবি। সততার পরিচয় গল্পে- আমরা দেখতে পাই ফেরেশতা-অন্ধ ব্যক্তিটিকে তার চোখের দুষ্টি ফিরিয়ে দেয় ও ধনীতে পরিণত করেন। আর পরবর্তীতে দেখা যায় ঐ অন্ধ ব্যক্তিটি ও ঠিক অসহায়ের পাশে দাঁড়ায় ও তার ইচ্ছানুসারে যা প্রয়োজন তাই নিতে বলে । ঠিক তেমনি রহিম ও করিম হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও মতলুবর রহমানের সাহায্যেও বিনিময়ে তারা যখন স্বাবলম্বী হয় তখন তারাও ঠিক একই কাজ করে। তাদের নিকট যখন এক অসহায় লোক আসে তারা তাকে অর্থের বিনিময়ে সাহায্য করন। আর টিক এই ধরণের কাজই অন্ধ ব্যক্তিটি করেছেন। আর তাই বলা যায় যে, রহিম ও করিম সততার পুরস্কার গল্পের অন্ধের প্রতিচ্ছবি।




(ঘ) পরোপকার হচ্ছে অন্যের উপকার করাকেই বুঝানো হয়ে থাকে। আর উদ্দীপকে এবং সততার পুরস্কার গল্পের উভয় ক্ষেত্রেই পরোপকার প্রাধান্য পেেেছ মন্তব্যটি যথার্থ। আমরা উদ্দীপকে দেখি যে, রহিম ও করিম কে মতলুবর রহমান যেমনি স্বাবলম্বী করে তোলেন ঠিক তেমনি তারাও আবার ঠিক অন্য এক অসহায় ব্যক্তিকে সাহায্য করেন। আর যার দ্বারা ধীরে ধীরে সবাই স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। আবার তেমনি করে সততার পুরস্কার গল্পে অন্ধ ব্যক্তিটি স্বাবলম্বী হওয়ার পরই ছদ্মবেশী বিদেশী অর্থাৎ ফেরেশতাকে সাহায্য করতে চাইলেন। এতে দেখা যায় উদ্দীপক ও গল্পে উভয় ক্ষেত্রে পরোপকার এর কথা বলা হয়েছে। আর তাই পরোপকার প্রাধান্য পেয়েছে।



প্রশ্ন: ০৩

একদা কালাম, আবুল ও হাফিজ নামে তিন অসহায় ব্যক্তি একই গ্রামে বাস করত । তাদের কোন কাজ না থাকায় জীবন চলা অতি দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে । এই সময় রহিম নামের এক ব্যক্তি তাদের সাহায্য করলে তারা স্ববলম্বী হয় । রহিম তাদের পরীক্ষা করার জন্য এক অসহায়কে পাঠালে হাফিজ অসহায়কে সাহায্য না করলেও কালাম ও আবুল দুজনেই অসহায়েয় প্রয়োজন অনুসারে সাহায্য করেন।

(ক) সততার পুরস্কার গল্পের কোন বংশের লোকের কথা বলা হয়েছে ?
(খ) তিনি তাহাকে একটি গাভিন গাই দিয়া বলিলেন, এই লও” এটি কেন কাকে বলল ও কেন?
(গ) উদ্দীপকের হাফিজের কাজের সাথে সততার পুরস্কার গল্পের চরিত্রের মিল লক্ষণীয় ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উদ্দীপকের কালাম সততার পুরস্কার গল্পের কার প্রতিনিধিত্ব করছেন ? বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্নের উত্তর:

(ক) সততার পুরস্কার গল্পে “ইহুদি ” বংশের লোকের কথা বলা হয়েছে।

(খ) “তিনি তাহাকে একটি গাভিন গাই দিয়া বলিলেন এই লও” এটি ফেরেশতা বলল টাকওয়ালাকে। পেরেশতা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য টাকওয়ালার নিকট আসলে প্রথমে তার টাক দূর করে দেন ও পরবর্তীতে তাকে তার ভাগ্যের উন্নতির জন্য গাভিন গাই দিলেন । আর এই কারণেই উক্ত কথাটি বলা হয়েছে।




(গ) উদ্দীপকের হফিজের কাজের সাথে সততার পুরস্কার গল্পের ধবলরোগী ও টাকওয়ালার চরিত্রের মধ্যে মিল লক্ষ্যনীয় । সততার পুরস্কার গল্পে আমরা দেখতে পাই ফেরেশতা ধবলরোগী ও টাকওয়ালাকে সুস্থ ও তাদের স্ববলম্বী করে তোলেন। কিন্তু পরবতর্েিত দেখা যায় তারা অন্যের উপকার করা থেকে বিরত থাকেন। ঠিক তেমনি হাফিজের নিকট ও এক অসহায় লোক সাহায্য চাইলে হাফিজ তার পূর্বের অবস্থা ভুলে যায় এবং সাহায্য করা থেকে বিরত থাকে এবং তার কৃতজ্ঞতা অস্বীকার করে। আর এ হতে দেখা যায় যে, হাফিজের কাজের সাথে সততার পুরস্কার গল্পের ধবল রোগী ও টাকাওয়ালার মধ্যে মিল লক্ষ্যনীয়।




(ঘ) উদ্দীপকের কালাম ‘সততার পুরস্কার গল্পে দেখওতে পাই যে, অন্ধ ব্যক্তি তার পূর্বেও অবস্থার কথা সর্বদা স্মরণ রাখতেন । আর তাই তিনি চাইতেন অসহায়কে সাহায্য করতে। আর আমরা উদ্দীপকে দেখতে পাই যে, কালাম অসহায় হতে ধনীতে পরিণত হওয়া সত্ত্বেও তার পূর্বের অবস্থা ভুলে যায় নি। কালাম তাই অসহায় লোককে অসহায়ের প্রয়োজন মতো সাহায্য করল। আর উপরোক্ত দিক হতে বলা যায়, কালাম যেমনি অসহায়কে সাহায্য করে ও তার পূর্বের কথা মনে রেখেছেন । আর তাই বলা যায় সে, উদ্দীপকের কালাম সততার পুরস্কার গল্পের অন্ধের প্রতিনিধিত্ব করছে।



প্রশ্ন: ০৪

দরিদ্র আবুল মিয়ার তিন সন্তান। অভাব হলেও ছেলেদের শিক্ষিত করেন এবং বতৃমানে তারা তিনজনই শহরে চাকুরী করেন। একদিন আবুল মিয়া অসুস্থ হলে ছেলেদের নিকট টাকা চাইলে বড় দুই সন্তান টাকা থাকা সত্ত্বেও দেয় নাই । অন্যদিকে তার ছোট সন্তান মজিদ বাবাকে টাকা পাঠায় ও সাথে সাথে দেখতে যায় ।

(ক) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
(খ) স্বর্গীয় দূত কার নির্দেশে এসব কাজ করেছিল ? ব্যাখ্যা কর।
(গ) মজিদই উদ্দীপকের আবুল মিয়ার যোগ্য সন্তান সততার পুরস্কার গল্পের কার চরিত্রের মিল ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) মজিদই উদ্দীপকের আবুল মিয়ার যোগ্য সন্তান সততার পুরস্কার গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্নের উত্তর :

(ক) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভারতের পরিশ্চমবঙ্গের “চব্বিশ পরগনা” জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।




(খ) স্বর্গীয় দূত “আল্লাহর” নির্দেশে এসব কাজ করেছিল । আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষার মাধ্যমে সৎলোককে যথাযথ পুরস্কার দেন । আর ফেরেশতারা অল্লাহর নির্দেশেই সকল ধরনের কাজ করে থাকেন।




(গ) উদ্দীপকের আবুল মিয়ার বড় দুই সন্তান এর সাথে সততার পুরস্কার গল্পের ধবলরোগী ও টাকওয়ালার মধ্যে মিল পাওয়া যায়।

“সততার পুরস্কার গল্পে আমরা দেখত পাই ধবলরোগী ও টাকওয়ালকে আল্লাহ স্বভাবিক চেহারা ও সাথে ধনবান বানিয়ে দেন। কিন্তু তারা ধনবান হওয়া সত্ত্বেও ফেরেশতা যখন গরিব বিদেশীয় রূপ ধারণ করেন তখন তারা বিদেশীকে সাহায্য করেন নি ও তাদের পূর্বের অবস্থার কথা ভুলে যা। আর ঠিক তেমনি উদ্দীপকের আবুল মিয়ার বড় দুই সন্তান বাবার অসুস্থাতার কথা শুনেও বাবাকে টাকা দেয় না এবং কৃতজ্ঞাকতা অস্বীকার করে এবং অকৃতজ্ঞাতার পরিচয় দেয়। আর এর দ্বারাই “সততার পুরস্কার গল্পের ধবলরোগী ও টাকওয়ালার সাথে আবুল মিয়ার বড় দুই সন্তানের মিল পাওয়া যায়।

(ঘ) মজিদই উদ্দীপকের আবুল মিয়ার যোগ্য সন্তান কারণ বাবার বিপদে তিনিই পাশে ছিলেন। ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আমরা দেখতে পাই যে, টাকওয়ালা ও ধবলরোগী ধনী হওয়ার পর আল্লাহর দান অস্বীকার করে অসহায়দের সাহায্য করা হতে বিরত থাকে তবে অন্দ ব্যক্তিটি আল্লাহার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও করে এবং অসহায়কে সাহায্য করেন। আমরা তেমনি উদ্দীপকে দেখতে পাই যে, আবুল মিয়া অসুস্ত হলে বড় দুই সন্তান টাকা না দিলেও ছোট সন্তান বাবাকে ঠিকই টাকা দিয়ে সাহায্য করেন আর এটিই ছিল একজন সন্তানের উপযুক্ত কাজ। আর তাই পরিশেষে বলা যায় যে, মজিদই উদ্দীপকের আবুল মিয়ার যোগ্য সন্তান।



প্রশ্ন: ০৫

কাজ শেষ করে দিন দিনমজুর আলাদা আলাদা বাবে বাড়ি ফিরছিলেন। পত হারিয়ে রাস্তার দারে এক শিশু কাঁদছিল। রহিম ও করিম প্রথমে দেখেও না দেকার মতো করে চলে যায়। কিন্তু অতঃপর মজনু শিশুটিকে দেখলে তার বাড়িতে নিয়ে যায় ও পরে তার পরিচয় জেনে বাড়তে রেখে আসে।

(ক)কাকে আল্লাহর দূত বলা হয়?
(খ) স্বর্গীয় দূতের কাছে অন্দ এক এক কোন দুটি জিনিস চাইল এবং কেন চাইল?
(গ) মজনুর মধ্যে সততার পরিচয় গল্পের কার চরিত্রে মিল ফুটে উছেছে?
(ঘ) উদ্দীপক ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের কাহিনী এক নয়।উদ্দীপক ও পাঠ্যবইয়ের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।



প্রশ্নের উত্তর:

(ক) ফেরেশতাকে আল্লাহর দূত বলা হয়েছে।

(খ) স্বর্গীয় দূতের কাছে অন্ধ প্রথমত তার চোখ ভাল করতে চাইল এবং দ্বিতীয়ত একটি ছাগল চাইল। চোখ অন্ধ থাকায় তার চোখের জ্যোতি ফিরে পাবার প্রবল ইচ্ছা ছিল এবং দরিদ্রতা দূর করণের জন্য সে তার কাছে দ্বিতীয়ত একটি ছাগল চেয়েছিল।

(গ)মজনুর কাজের মধ্যে দিয়ে সততার পুরস্কার গল্পের অন্ধ লোকের কাজের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়্ কারণ দুজনের মধ্যেই অসহাযকে সাহায্য করার প্রবণতা দেকা যায়। উদ্দীপকের আলোচনা থেকে আমরা দেখতে পাই যে, এক অসহায় শিশু রাস্তা হারিয়ে পতে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল। রহিম ও করিম তাকে দেকেও কোনো সাহায্য না করে চলে গেল্ কিন্তু মজনু তা না কওে তাকে নিয়ে এসে তার পরিচয় জেনে তাকে তার বাবা-মার কাছে ফিওে দেয়।

অপরদিকে সততার পুরস্কার গল্পে ফেরেশতা দ্বিতীয়বার এক অসহায় বিদেশীয় রূপ নিয়ে আবিভর্’ত হল। সেই তিন ইহুদির কাছে সাহায্য চাইল। ধবল রোগী এবং টাকওয়ালা তাকে ফিরিয়ে দিল। কিন্তু অন্ধ তাকে তার সাধ্যমত সাহায্য করতে চাইল যা উদ্দীপকের মজনুর কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

(ঘ) উদ্দীপক ও সততার পুরস্কার গল্পের কাহিনী এক নয় কারণ দুই গল্পে বিষয়টি এরকম হলেও কাহিনী দুটি ভিন্ন্ উদ্দীপকে তিনজন লোক এক পথশিশুকে দেখল। প্রথম দুইজন তাকে কোনো সাহায্য করল না কিন্তু তৃতীয়জন তাকে যথার্থ সাহায্য করল। এক্ষেত্রে শিশুটিকে কোন আর্থিক সাহায্য করতে হয়নি। অপরদিকে সততার পুরস্কার গল্পে মানুষরূপি ফেরেশতা প্রথমবার ধবলরোগী, টাকওয়ালা ও অন্ধকে তাদের চাহিদা মত সাহায্য করল কিন্তু দ্বিতীয়বার তাদের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবার ফেরেশতা আবির্ভূত হয়েছিল।



 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রি লাভ করেন?

উত্তর : মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সোরবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রি লাভ করেন।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত শিশু পত্রিকার নাম কী?

উত্তর : মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত শিশু পত্রিকার নাম ‘আঙুর’।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বাংলা ব্যাকরণ রচনায় কে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন?

উত্তর : বাংলা ব্যাকরণ রচনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কত সালে বিএ অনার্স পাস করেন?

উত্তর : মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯১০ সালে বিএ অনার্স পাস করেন।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ কোন বংশের লোককে পরীক্ষার জন্য আল্লাহ ফেরেশতা পাঠান?

উত্তর : ইহুদি বংশের তিন লোককে পরীক্ষার জন্য আল্লাহ ফেরেশতা পাঠান।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মূলত কোন কাহিনি লিপিবদ্ধ করেছেন?

উত্তর : ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মূলত হাদিসের কাহিনি লিপিবদ্ধ করেছেন।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ কার অনুগ্রহে তিনজনের শারীরিক ত্রুটি দূর হয়েছে?

উত্তর : ফেরেশতার অনুগ্রহে তিনজনের শারীরিক ত্রুটি দূর হয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ অন্ধ ব্যক্তিকে ফেরেশতা কী প্রদান করেছিলেন?

উত্তর : অন্ধ ব্যক্তিকে ফেরেশতা ছাগল প্রদান করেছিলেন।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ ফেরেশতা কোন ছদ্মবেশে তিন জনের কাছে হাজির হলেন?

উত্তর : ফেরেশতা গরিব বিদেশির ছদ্মবেশে তিন জনের কাছে হাজির হলেন।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ কারা নিজেদের পূর্বের অবস্থা অস্বীকার করল?

উত্তর : প্রথম দুজন নিজেদের পূর্বের অবস্থা অস্বীকার করল।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ‘ফেরেশতা হইলেন আল্লাহর দূত’- কথাটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ফেরেশতা হচ্ছেন আল্লাহর দূত। ‘দূত’ অর্থ বার্তাবাহক।

ফেরেশতা আল্লাহ্র আদেশ নির্দেশ মানুষের কাছে অর্থাৎ আল্লাহ্র বান্দার কাছে পৌঁছে দেয়। আল্লাহর নির্দেশে কাজ করেন। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন যা বলেন বা নির্দেশ দেন তা পালন করাই তাঁদের একমাত্র কাজ।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ধবলরোগীকে গাভিন গাই কেন দেওয়া হয়েছিল?

উত্তর : ধবলরোগীকে তার দারিদ্র্য দশা হতে মুক্তির জন্য গাভীন গাই দেওয়া হয়েছিল।

ধবলরোগী রোগশোকে জর্জরিত ছিল। কাজ করতে পারত না। সমাজে তার মর্যাদা ছিল না। তার সততা ও কৃতজ্ঞতা পরীক্ষা করতে তাকে গাভিন গাই দেওয়া হয়েছিল।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ অন্ধ ব্যক্তির চোখ কীভাবে ভালো হলো?

উত্তর : আল্লাহ্র নির্দেশে ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির কাছে তার সমস্যা জানতে চাইলেন। অন্ধ ব্যক্তি বললেন তিনি রোগ থেকে মুক্তি চান। ফেরেশতা তার চোখে হাত বুলিয়ে দিলে তার চোখ রাব্বুল আলামিনের রহমতে ভালো হয়ে যায়।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ অন্ধ ব্যক্তি ছাগল চেয়েছিল কেন?

উত্তর : অন্ধ ব্যক্তি গরিব ছিল। সে যখন ফেরেশতার মাধ্যমে সুস্থ হলো তখন ফেরেশতা তাকে আবার জিজ্ঞাস করে- তুমি আর কী চাও? তখন সে বলল, সে ছাগল চায়। অন্ধ ব্যক্তি ভাগ্য ফেরানোর জন্য তাকে ছাগল দেওয়া হয়েছিল।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ ফেরেশতা দ্বিতীয়বার ধবলরোগীর কাছে গিয়ে কী বলেছিল?

উত্তর : আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতা মানুষের বেশে ধবলরোগী পরীক্ষা করার জন্য দ্বিতীয় বার তার কাছে যায় এবং বলে আমি বিদেশি। আমি অসহায়। আমাকে সাহায্য করার জন্য আল্লাহর ওয়াস্তে একটি উট দাও। আল্লাহ তো তোমাকে সবকিছু দিয়েছেন।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ ফেরেশতা উট চাইলে ধবল রোগী কী জবাব দিয়েছিল?

উত্তর : মানুষরূপী ফেরেশতা উট চাইলে ধবলরোগী বলেছিল- উটের অনেক দাম। দামি জিনিস তোমাকে কীভাবে দিই। ধবলরোগী আল্লাহর দান ভুলে গিয়ে অকৃতজ্ঞের মতো বলল, এসব তার আগে থেকেই ছিল।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ কেন তিন ইহুদির পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল?

উত্তর : তিন ইহুদির সমস্যা দূর করে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কারণ আল্লাহ দেখতে চাইলেন মানুষ তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কি না। তাছাড়া সৎ মানুষকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য এই পরীক্ষা নেওয়া হয়।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ ‘সততার পুরস্কার’ রচনাটির বৈশিষ্ট্য কেমন?

উত্তর : সততার পুরস্কার একটি আদর্শিক রচনা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ